রাজশাহী

টি-বাঁধ

রাজশাহী বাংলাদেশের সুন্দরতম শহরগুলোর একটি। রাজশাহীতে ঘোরার জায়গার কথা চিন্তা করলে শুরুতেই মাথায় আসে পদ্মার তীরের মনোরম সৌন্দর্য্যের কথা। পদ্মা নদীর সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে যাওয়া যেতে পারে টি-বাঁধে।

আই-বাঁধ+বঙ্গবন্ধু হাইটেক পাড়

পদ্মার তীরে গড়ে উঠছে একটি হাইটেক পার্ক, যদিও এখনো নির্মাণাধীন। হাইটেক পার্কের পাশেই পদ্মার বুকে I আকৃতির একটি বাঁধ গড়ে তোলা হয়েছে। সেটিও পদ্মার সৌন্দর্য্য অবলোকনের চমৎকার একটি জায়গা। সাথে হাইটেক পার্কের নির্মাণ কাজও দেখে আসা হবে।

পদ্মা গার্ডেন

পদ্মার তীরে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে গড়ে তোলা একটি মনোরম স্থান। এখানে রয়েছে একটি মুক্ত মঞ্চ। পদ্মা গার্ডেন হিসেবে পরিচিত হলেও এর একটি খটমটে নাম দেওয়া হয়েছে, ওডভার মুনক্সগার্ড পার্ক।

লালন মুক্তমঞ্চ

পদ্মার তীরে গড়ে তোলা আরেকটি উম্মুক্ত বিনোদনক্ষেত্র।

শহীদ এ. এইচ. এম. কামরুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা

বেশ বড় পরিসর নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা। মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করলে খাঁচায় বিভিন্ন প্রাণী দেখা যাবে। হাঁটতে থাকলে পরবর্তী অংশে পাওয়া যাবে একটি শিশু পার্ক যেখানে বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে একটি উঁচু নাগরদোলা, উচ্চতা প্রায় দশ তলা ভবনের সমান (৯৬ ফুট)। এত উঁচু থেকে রাজশাহী শহরটা অসাধারণ সুন্দর দেখায়। বিশেষ করে পদ্মা নদীর রূপ এখান থেকে বড় মায়াবি।

শহীদ জিয়া শিশু পার্ক

নওদাপাড়া অঞ্চলের এই পার্কটিতে স্থাপন করা হয়েছে মনোরেল স্কাই বাইক, ফ্লুম রাইডস, অক্টোপাস সহ এক্সাইটিং বেশ কিছু রাইডস। (উইকিপিডিয়া)

বাঘা মসজিদ

বাংলাদেশের প্রাচীন মসজিদগুলোর অন্যতম এই দশগম্বুজ বিশিষ্ট টেরাকোটার কাজ করা মসজিদটির নির্মাণশৈলী অসাধারণ। মসজিদ সংলগ্ন দীঘিতে শীতকালে অতিথি পাখিদের বিচরণের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য চোখে পড়ে। (বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন)

বরেন্দ্র জাদুঘর

রাজশাহী শহরের হেতেম খাঁ অঞ্চলে স্থাপিত এই জাদুঘরটি বাংলাদেশে স্থাপিত প্রথম জাদুঘর। ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্থাপিত হয়েছিল এই প্রত্ন সংগ্রহশালা। বর্তমানে এটি পরিচালনা করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। (উইকিপিডিয়া)

হাওয়াখানা

এটি একটি সুন্দর তেতলা ভবন, যার বিশেষত্ব হলো এর প্রথম তলা পানির মধ্যে। পুঠিয়ার রাজারা দেহ ও মন ফুরফুরে করতে হাওয়াখানা ব্যবহার করতেন। (বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন)

পাঁচআনি জমিদারবাড়ি বা পুঠিয়া রাজবাড়ী

ইন্দো-ইউরোপীয় রীতিতে নির্মিত হয়েছে এই রাজবাড়ী। ১৮৯৫ সালে মহারানী হেমন্তকুমারী দেবী দ্বিতল এই ভবনের নির্মাণ করেন।

অন্যান্য

রাজশাহী কলেজ কিংবা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও ঘুরে আসার মত জায়গা। রাজশাহী সাধারণ গ্রন্থাগারে বইপ্রেমীরা বইয়ের সাথে সুন্দর সময় কাটাতে চলে যেতে পারেন। চা-প্রেমীরা সাহেব বাজার বড় মসজিদের সামনে পেয়ে যাবেন ১৫-২০ রকমের চেনা-অচেনা চা, যার মধ্যে রয়েছে বিজলী চা, রিমিক্স চা, তেঁতুল চা, পুদিনা চাসহ হরেক রকমফের।

রাজশাহী

Explore the place

শহরের মানচিত্র